ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাটুলিয়া এলাকায় ‘আধ্যাত্মিক সাধক’ বুচাই পাগলার মাজারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একদল লোক মাজারটিতে হামলা চালায়। মাজারের খানকা ঘর ও পাগল ধাম ভেঙে ফেলা হয় এবং কিছু অংশে আগুন দেওয়া হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভাঙচুর চলতে থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাটুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বুচাই পাগলা, যাকে আধ্যাত্মিক গুণের অধিকারী মনে করতেন অনেকে। আশির দশকে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হলে তাকে সড়কের পাশে দাফন করা হয় এবং সেই স্থানকে ঘিরে মাজার গড়ে ওঠে। প্রতিবছর সেখানে ওরশ ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে মাজারে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ছিল, যা হামলার কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাজারের ভবনটি খননযন্ত্র দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়, তিনটি দেয়াল এবং চারটি গম্বুজের মধ্যে তিনটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মাজারের পাশে থাকা টিনের ঘরও ধ্বংস করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, মাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চললেও প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়নি। এবার কালামপুর ও আশপাশের লোকজন একত্রিত হয়ে মাজারটি ভেঙে ফেলে। তবে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাজারে শরিয়া বিরোধী কোনো কাজ হয়নি এবং মাদক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। দূরের কিছু লোক এসে মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটিয়েছে, যা অন্যায়।
ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, দুপুরে বিক্ষোভকারীরা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর আপাতত পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।