আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মণিপুরে আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গুলি বিনিময়, বোমা বিস্ফোরণ, এবং অত্যাধুনিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ঘটনায় ভারতীয় প্রশাসন উদ্বিগ্ন। বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের পাশাপাশি মণিপুর রাইফেলসের দুটি ব্যাটেলিয়নের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুটের চেষ্টাও হয়েছে।
মণিপুরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শান্তি ফেরাতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইম্ফলে বিশাল সংখ্যক নারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। তারা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং সহিংস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। মণিপুর পুলিশের ইন্টেলিজেন্স বিভাগের আইজিপি কে খাবিব জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ড্রোন হামলার জন্য কুকি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে, কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
মেইতেই গোষ্ঠীর আহ্বায়ক সেরাম রোজেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান, অভিযোগ করে বলেন মেইতেইদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, কুকি সম্প্রদায়ের অধিকার কর্মী হাতজালহই হাওকিপ কুকিদের ওপর দীর্ঘদিনের অত্যাচার সম্পর্কে কেন্দ্র সরকারকে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পোস্ট ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জনগণকে এসব ভিত্তিহীন তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছে।