নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের দুই নেতা শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম হলে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন, ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রেদোয়ান বিন আজাদ এবং পরিসংখ্যান বিভাগের একই ব্যাচের তৌহিদ মাহমুদ তীর্থ।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তৌহিদ ও রেদোয়ান শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। শুক্রবার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, তারা হলের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন। এরপর শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে হলে প্রবেশ করে তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে। ক্রমাগত স্লোগানের মুখে অবশেষে এই দুই নেতা হল এবং ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।
কিছু শিক্ষার্থী জানান, ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হলে থাকার সময় খারাপ ব্যবহার করেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা কোনো প্রতিরোধ না করে হলে থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ মাহমুদ তীর্থ বলেন, “ছাত্রলীগে আমার কোনো পদ বা পদবি নেই। আমি মূলত মাইজদী শহরে একটি মেস নিয়েছি এবং আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে হলে গিয়েছিলাম। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের জিনিস নিতে দেয়নি এবং হল প্রভোস্টের মাধ্যমে তা নেওয়ার পরামর্শ দেয়। আমরা সেটাই মেনে নিই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন বলেন, “যারা এক দফাকে কবর দিতে চেয়েছেন, তাদের এই ক্যাম্পাসে কোনো স্থান নেই। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী, এবং আমাদের ক্যাম্পাসও সাধারণ শিক্ষার্থীদের। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুক।”