ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত ‘শহীদী মার্চ’ আজ সারা দেশে পালিত হয় এবং জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে লাখো ছাত্র-জনতা অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে জাতীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয় শহীদি মার্চ। লাখো শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে রাজধানীর রাজপথ ছিল উৎসবমুখর। এই পদযাত্রা শুরু হয়েছিল বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে। দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক আইডিতে এই অভূতপূর্ব অংশগ্রহণের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “লক্ষাধিক ছাত্র-জনতার এই সমুদ্রস্রোত প্রমাণ করে- শহীদের রক্তে রঞ্জিত অভ্যুত্থান কখনো বৃথা যেতে পারে না। সেই স্পিরিটকে ধরে রাখতে আবার জীবন দিতেও আমরা প্রস্তুত।”
মার্চ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘সফল হোক শহীদী মার্চ’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। পথচারী ও আশপাশের দোকানিরা হাত নেড়ে তাদের প্রতি সংহতি জানান।
এর আগে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি ছাত্র-জনতাকে শহীদের স্মরণে ছবি ও উক্তিসহ স্মারক নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। একইসাথে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার দাবির মুখে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেয়, যার মধ্য দিয়ে প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।