আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক দাবি করেছেন যে, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, গত ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হটিয়ে দেওয়ার পর, সমগ্র দেশে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়। এ সময় দেশের পুলিশ স্টেশনগুলোতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের সদস্যদের হত্যা করা হয়, যা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চরম অস্থিতিশীল করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যালয়, সদস্যদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
নানক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে প্রায় ১০ হাজার দলীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়েছে। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনও অগ্নিসংযোগ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পরে বাংলাদেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ওপর ধারাবাহিকভাবে আঘাত হানা হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মুজিব নগর যাদুঘর, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং জয়নুল আবেদীনের ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহ্যবাহী প্রতিমূর্তিগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষকে মর্মাহত করেছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।