নারায়ণগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার ৭টি থানায় ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৮৬ জনকে। সোমবার রাতে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বিএনপি’র নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ নিরীহ মানুষ, শিক্ষার্থী, অটোচালক, রিকশাচালক, দিনমজুর, হোটেল কর্মচারী, এবং গার্মেন্টস শ্রমিক রয়েছেন।
পুলিশ ও ডিবি মোবাইল ফোন চেক করে সহিংসতার কোনো ভিডিও, ছবি বা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি পেলেই আটক করছে।
মামলায় গ্রেপ্তার নিরপরাধ মানুষদের নিয়ে স্বজনরা আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। বৃদ্ধা করিমন বেগম জানান, তার ছেলে মো. হাসানকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ২৫শে জুলাই রাতে আটক করে নাশকতার মামলায় আদালতে পাঠিয়েছে, যদিও হাসান কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত নয়।
একইভাবে, ২৬শে জুলাই রাতে রূপগঞ্জের চনপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কাদিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাদিরের বোন পারভীন জানান, কাদির কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও তাকে বিএনপি’র লোক আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের অব্যাহত অভিযানের কারণে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বাড়িঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন। পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়িঘরে হানা দিচ্ছে। অনেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে দুষ্কৃতকারীরা নারায়ণগঞ্জ শহরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর এবং আগুন দেয়। এসব ঘটনায় ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম-অপারেশন) চাইলাউ মারমা জানান, সোমবার রাতে নতুন করে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং আরও ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।