দেশে সংঘটিত একটি ভয়াবহ ঘটনায় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বেহাত হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেহাত হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে সিংহভাগ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বেহাত হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে:
- ৩৩৮টি চায়না রাইফেল (৭.৬২ x ৩৯ মি.মি)
- ১টি বাংলাদেশি রাইফেল (৭.৬২ x ৩৯ মি.মি)
- ৬৬টি চায়না এসএমজি
- ১১টি চায়না এলএমজি
- ৮৪৯টি সেভেন পয়েন্ট ৬২ এবং নাইন পয়েন্ট ওয়ান নাইন পিস্তল
- ১টি নাইন পয়েন্ট ওয়ান নাইন মি.মি এসএমজি/এসএমটি
- ৬২২টি ১২ বোরের শটগান
- ১৬৮টি সিঙ্গেল শটের ৩৮ মি.মি গ্যাসগান
- ৮টি সিক্স শটের ৩৮ মি.মি টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার
- ২টি ২৬ মি.মি সিগন্যাল পিস্তল
এছাড়াও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ বেহাত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ৩ লাখ ২০ হাজার ৬৬০ রাউন্ড গুলি
- ৮ হাজার ৯০৫টি টিয়ার গ্যাসের শেল
- ৭৫১টি টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড
- ২ হাজার ৫৭৬টি সাউন্ড গ্রেনেড
- ৭৮টি কালার স্মোক গ্রেনেড
- ৩৭টি মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড
- ৩৬০টি ফ্লাশ ব্যাং গ্রেনেড
- ৮৩টি হ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে
উল্লেখযোগ্যভাবে, সিঙ্গেল শটের ৩৮ মি.মি গ্যাসগান ৫৯৩টি, সিক্স শটের ৩৮ মি.মি টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার ১৫টি এবং ২৬ মি.মি সিগন্যাল পিস্তল ৩টি লুট করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, যেমন ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৪২ রাউন্ড গুলি, ৩১ হাজার ৪৪টি টিয়ার গ্যাস শেল, ১ হাজার ৪৫৫টি টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড, ৪ হাজার ৬৯২টি সাউন্ড গ্রেনেড, ২৯১টি কালার স্মোক গ্রেনেড, ৫৫টি মাল্টিপল ব্যাং স্টান গ্রেনেড, ৮৯৩টি ফ্লাশ ব্যাং গ্রেনেড এবং ১৭৭টি হ্যান্ড হেল্ড টিয়ার গ্যাস স্প্রে লুট হয়েছে।
বিপুল পরিমাণ এ অস্ত্র ও গোলাবারুদের বেহাত হওয়া নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিপদ মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে, তবে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সংখ্যা এখনও সীমিত।