সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আন্দোলনকারীদের লাশ একটি ভ্যানগাড়িতে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ভিডিওতে থাকা চারজন পুলিশ সদস্যের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের (তদন্ত) কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ রায়, কনস্টেবল মুকুল এবং ডিবির কনস্টেবল রেজাউল।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ রায় ও কনস্টেবল মুকুলের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় লোকজন। এ ছাড়া পুলিশের একটি সূত্রও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একাধিক পুলিশ সদস্য মরদেহগুলো একটি ভ্যানে তুলে স্তূপাকারে রাখছেন এবং পরে সেগুলো একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের পোস্টার দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ঘটনাটি আশুলিয়া থানার পাশেই ঘটেছে।
এ ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ জানান, চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা জমায়েত হন। এরপর পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যাতে ১৫ জন নিহত হন। ভিডিওটিতে দেখা লাশগুলোর হিসাব বাদে, গত ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাভার ও আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৭৫ জন, এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ।