বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এই ঘটনার পরপরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ওপর ভিত্তি করে একই বছর শাহীন আলম নামে এক আইনজীবী এই রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব মোরশেদ, এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, হাইকোর্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই কমিশন বুয়েটের আবাসিক হলগুলোতে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করবে এবং দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলে নির্যাতন বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়াও, হাইকোর্টের রুলে বুয়েটসহ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বুয়েটের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য বিবাদীদের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রায় দেন, যেখানে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।