সারাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের জেরে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এই হামলার পর দুর্বৃত্তরা বেশ কিছু থানায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যারা এসব লুট করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিজেদের কাছে রেখেছেন, তাদেরকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, ইতোমধ্যে কিছু লুটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ৩ হাজার ৮৮০টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, ২ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১টি টিয়ার শেল এবং ২ হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, লুণ্ঠিত ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার, বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িতে দুর্বৃত্তরা ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে। বিশেষ করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ১০১টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র লুট হয়, যার মধ্যে ৮০টি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশিষ্ট লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর রয়েছে।