নরওয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিসাভিকার উপকূলে ভাসমান অবস্থায় একটি বেলুগা প্রজাতির তিমি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যাকে রাশিয়ার গুপ্তচর তিমি হিসেবে প্রশিক্ষিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাঁচ বছর আগে এই তিমিটি প্রথমবার নরওয়ের সমুদ্রে দেখা গিয়েছিল। সে সময় তিমিটির সাথে একটি গোপ্রো ক্যামেরা ছিল, যার গায়ে লেখা ছিল ‘সেন্ট পিটার্সবার্গের যন্ত্র’।
এই ঘটনার পর থেকেই তিমিটিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষিত গুপ্তচর হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছিল। স্থানীয়ভাবে তিমিটিকে ‘ভলদিমির’ নামে ডাকা হতো, যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামের সাথে মিলে যাওয়ায় মজার ছলে রাখা হয়েছিল।
মেরিন মাইন্ড নামের একটি সংগঠন তিমিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল এবং তারা সপ্তাহের শেষে তার নিথর দেহটি আবিষ্কার করে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান স্ট্রান্ড জানিয়েছেন, তিমিটির মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা এবং তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিমিটির মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য তার দেহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে রাখা হয়েছে এবং নরওয়ের ভেটেরিনারি ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
২০১৯ সালে প্রথম নরওয়ের ইনগোয়া দ্বীপের কাছে তিমিটিকে দেখা গিয়েছিল, যা রাশিয়ার উত্তর নৌবহর মুরমানস্ক থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ ধরনের তিমি সাধারণত এত দক্ষিণে দেখা যায় না, তাই ঘটনাটি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে। পরে তারা জানায়, তিমিটি মানুষের সাথে মিশতে অভ্যস্ত হওয়ায় এটি রাশিয়ান সেনাবাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষিত বলে মনে হচ্ছে।
রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো এই তিমিটিকে সামরিক উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণিদের গুপ্তচর হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়ার কোনো কর্মসূচির অস্তিত্বও অস্বীকার করেছে।