নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নতুন অধ্যায় শুরু হলেও, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন ওঠে। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ আগেই হাথুরুকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও, প্রথম বোর্ড সভার পর তার অবস্থান হয়ে উঠেছে কূটনৈতিক। গামিনির ক্ষেত্রেও তার বক্তব্য প্রায় একইরকম।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে হাথুরুসিংহেকে নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। তার একনায়কসুলভ মনোভাব এবং দলে গ্রুপিং সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি, তিনি ক্রিকেটারদের গায়ে হাত তোলারও অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন। অন্যদিকে, মিরপুরের পিচের বেহাল দশার পেছনে দায়ী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন গামিনি ডি সিলভা। এসব সত্ত্বেও, বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে এই দুই শ্রীলঙ্কান কর্মকর্তার বিদায় আপাতত অনিশ্চিত।
বৃহস্পতিবার বোর্ড মিটিং শেষে ফারুক আহমেদ বলেন, “সিরিজটা শেষ হোক, আমাদের ভালো সুযোগ আছে (সিরিজ জেতার)। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে স্বেচ্ছাচারী হতে পারি না। আমার কাজের ধরন আগে যেমন ছিল, এখনও তা-ই আছে। আমার সাত আর সাত দিন, ১৪ দিন পরে নতুন কোনো ফল আসতে পারে।”
গামিনি ডি সিলভা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ফারুক আহমেদ জানান, “যখন হোম সিরিজটা খেলি, সেখানে প্রধান কোচসহ সবার চাওয়া থাকে। গামিনি আমাদের আরও মাঠে কাজ করতে পারে। (উইকেট কেমন হবে) তা সিরিজ বাই সিরিজ ঠিক হয়। দুর্নীতি যে হয়েছে, কী মাত্রায় হয়েছে সেটা বের করা আমাদের কাজ।”
কিউরেটর টমি হেমিংয়ের উল্লেখিত ‘শ্রীলঙ্কান সিন্ডিকেট’ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, “আমার মাত্র সাত দিন হয়েছে। কিছুই বন্ধ করা যাবে না, সব কাজই করতে হবে। ওর (গামিনির) চুক্তি আছে ২০২৫ পর্যন্ত। তাকে বাদ দেওয়া যায় না। আমাদের অনেক গ্রাউন্ডস স্টাফ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞানের ছেলেদের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”