নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে পরীক্ষার বদলে ‘যোগ্যতাভিত্তিক মূল্যায়ন’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। তবে বাস্তবতার কারণে সেটি বাদ দিয়ে আবারও পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। চলতি বছর থেকেই মাধ্যমিক স্তরে আগের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চিহ্নভিত্তিক মূল্যায়নের পরিবর্তে সৃজনশীল প্রশ্নে নম্বরভিত্তিক পরীক্ষায় বসবে আগামী ডিসেম্বরে।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব ইত্যাদি নানা সমস্যার কারণে এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০২৫ সালে সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, ২০২৬ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগের শিক্ষাক্রম অনুসারে পরিচালিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, যেসব শিক্ষার্থী ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা দিয়েছে, তারা ডিসেম্বরে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে এবং এ বিষয়ে দ্রুত নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হবে।