ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতি ও অচলাবস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই তিনি বিসিবি পরিচালনা কমিটি পুনর্গঠন এবং উপজেলা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো ভেঙে দেওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। এবার তার নজর বাফুফের দিকে।
আসিফ মাহমুদের মতে, বাফুফেতে একনায়কতন্ত্রের প্রভাব বিদ্যমান, যা পরিবর্তনের প্রয়োজন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বাফুফে সম্পর্কিত বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ফুটবল ফেডারেশনের কাউন্সিলররা পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, যা দেশের ফুটবলকে হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, “ফুটবল যারা চালাচ্ছেন তাদের জায়গায় পরিবর্তন প্রয়োজন। বাফুফের গঠনতন্ত্র যাতে একনায়কতন্ত্র তৈরি না করে, সেদিকে নজর দেওয়া হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয়, তাই সরকারের পক্ষ থেকে দুই মেয়াদের বেশি সভাপতি না হওয়ার বিধান করার সুযোগ রয়েছে।”
ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে বিরাজনীতিকরণ করবেন। তিনি অভিযোগ করেন, “ফেডারেশনগুলোতে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পার্টি অফিস বানিয়ে রেখেছে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় হারিয়ে যায়, বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ফুটবল দলগুলো। সমমনা গোষ্ঠীরা সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি চালায়।”
উপদেষ্টা হিসেবে তার প্রধান লক্ষ্য হলো ক্রীড়াঙ্গনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। তার মতে, “জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি বাড়ে।”
ফুটবলসহ দেশের সকল খেলাধুলাকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে এবং এই পরিবর্তনের যাত্রা অব্যাহত রাখতে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আশাবাদী যে, তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো ক্রীড়াঙ্গনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।