বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত প্রযুক্তি-দুনিয়া
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিঠি লেখা, বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি এবং কৃত্রিম ছবি তৈরি করে তা অনলাইনে প্রকাশ করছেন। তবে, এর পাশাপাশি এআই দিয়ে তৈরি ছবি ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনাও বাড়ছে। এতে করে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে, এআই দিয়ে তৈরি ছবি শনাক্ত করার পদ্ধতি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ছবির উৎস যাচাই
কোনো ছবি এআই দিয়ে তৈরি কি না তা শনাক্ত করার প্রথম ধাপ হলো ছবির উৎস যাচাই করা। এর জন্য ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ টুল ব্যবহার করে অনুসন্ধান করতে হবে। গুগল লেন্স ও টিনআইয়ের মতো টুলগুলো ব্যবহারে জানা যাবে, একই ধরনের ছবি কোন কোন ওয়েবসাইটে রয়েছে। এছাড়াও, কোনো পুরোনো ছবি বিকৃত করে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে কি না, তাও এই পদ্ধতিতে জানা সম্ভব।
ছবির গড়ন যাচাই
ছবিতে থাকা মানুষের ত্বক, চুল, এবং কাপড়ের মতো সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেও এআই ছবি শনাক্ত করা সম্ভব। এআই ছবি সাধারণত ত্বককে অত্যন্ত মসৃণ বা এবড়োখেবড়ো করে তুলে ধরে। চুলের বিন্যাসেও থাকতে পারে অসামঞ্জস্য। তাছাড়া, ছবির ব্যক্তির নাক, কান, পা, ও হাতের গড়নও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মুখের সঙ্গে ঠোঁটের অসামঞ্জস্য, অস্বাভাবিক আকৃতি বা চোখের চারপাশ ও কানের ওপরের অংশের ত্রুটি থাকলে বুঝতে হবে, ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি।
ছবির বিভিন্ন উপাদান যাচাই
ছবিতে থাকা দৃশ্যের বিভিন্ন উপাদানও বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। যেমন, ছবির গাছ, ফুল, এবং প্রাণীর আকার ও রং স্বাভাবিক আছে কি না তা দেখতে হবে।
আলো ও ছায়া
ছবিতে থাকা মানুষ এবং দৃশ্য যাচাইয়ের পাশাপাশি ছবির আলো ও ছায়া পরীক্ষা করতে হবে। এআই প্রায়ই আলো ও ছায়ার সঠিক সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। সাধারণত ছায়া আলোর উৎসের দিকেই পড়ে এবং বস্তুর আকারের সঙ্গে মিল থাকে। যদি ছবির পেছনের দৃশ্যে কোনো অবাস্তব বা কাল্পনিক উপাদান দেখা যায়, তবে সেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি হতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া