আমাদের ব্যস্ত জীবনে রাতের খাবার দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কাজের চাপ বা দৈনন্দিন নানা ব্যস্ততার কারণে অনেকেই রাতের খাবার খেতে খেতে রাত ১২টা পর্যন্তও সময় নিয়ে থাকেন। তবে জানেন কি, এই অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে? রাতে দেরিতে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
প্রথমত, বেশি রাতে খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবার খাওয়ার পরপরই অনেকে ঘুমিয়ে পড়েন, যা বদহজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।
দ্বিতীয়ত, দীর্ঘদিন ধরে বেশি রাতে খাওয়া দাওয়ার ফলে হাই ব্লাড প্রেশার এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ঘুমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে, যার ফলে মাথাব্যথা, অ্যাসিডিটি এবং পরের দিন সারাদিন মেজাজ খারাপ থাকতে পারে। এমনকি, এই অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও নষ্ট করতে পারে।
তৃতীয়ত, দেরিতে খাওয়া দাওয়া শরীরের কোষে ফ্রি রেডিক্যাল বৃদ্ধি করে, যা কোষের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
চতুর্থত, দেরিতে খাওয়া দাওয়ার কারণে বৃদ্ধিজনিত হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ত্বকের লাবণ্য হারাতে পারে।
তাই শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত করতে রাত ৯টার মধ্যে খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। এছাড়া, রাতে মদ ও ক্যাফেইনজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তাড়াতাড়ি খাওয়ার ফলে মাঝরাতে যদি ক্ষুধা লাগে, তবে হালকা কিছু খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। এই কয়েকটি অভ্যাস মেনে চললে শরীর সুস্থ থাকবে এবং নানা রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে।