ঢাকা, ৩১ আগস্ট ২০২৪ – বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার ফলে ২০ লাখেরও বেশি শিশু চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৬ লাখেরও বেশি মানুষ, যা গত ৩৪ বছরে এই অঞ্চলে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।
নজিরবিহীন মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের নদীগুলোতে পানি বেড়ে গিয়ে ঘরবাড়ি, স্কুল ও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫২ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং পাঁচ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, আটকা পড়া লাখ লাখ শিশু ও পরিবারের কাছে খাদ্য ও জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এমা ব্রিগহাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, বলেছেন, “বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা শিশুদের ওপর চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনা ও জলবায়ু সংকটের অব্যাহত প্রভাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।”
ইউনিসেফ এরই মধ্যে ১৩ লাখ শিশু ও তিন লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছে। তবে এমা ব্রিগহাম বলেন, “এই শিশুদের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের ভবিষ্যতের ওপর আরও বিধ্বংসী প্রভাব রোধ করতে আরও তহবিলের প্রয়োজন।”
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য চরম দুর্যোগপূর্ণ ঘটনাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে। ইউনিসেফের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুদের ঝুঁকির মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এমা ব্রিগহাম বলেন, “শিশুদের জন্য বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।”