আজ ৩১ আগস্ট, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘বাইরে খাওয়ার দিন’। দেশীয় প্রেক্ষাপটে একে বলা যেতে পারে ‘চড়ুইভাতি দিবস’। শৈশবের চড়ুইভাতির কথা মনে পড়ে? খোলা মাঠে, নদীর তীরে, বা ছায়াঢাকা গাছের নিচে পাড়া-মহল্লার শিশু-কিশোরদের প্রীতি ভোজনোৎসব—এই চড়ুইভাতি আজও অনেকের মনে আনন্দের জোয়ার তোলে। যদিও অঞ্চলভেদে এটি টুলাপানি বা ভুলকাভাত নামে পরিচিত, চড়ুইভাতির ঐতিহ্য কালের বিবর্তনে কমে গেলেও একেবারে হারিয়ে যায়নি। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এখনো এ ধরনের উৎসবের দেখা মেলে।
শহুরে মানুষজনও এই আনন্দমুখর উৎসবের টানে সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন। নিরিবিলি কোনো বনাঞ্চল বা পাহাড়ের গায়ে চলে রান্নাবান্না আর খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। তবে ‘চড়ুইভাতি’ শব্দটি এখন আদুরে শব্দ থেকে ‘পিকনিক’ বা ‘বনভোজন’ নামে পরিচিত হলেও, চড়ুইভাতির মূল স্বাদ কিন্তু ঠিকই একই রয়ে গেছে—বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে বাইরে খাওয়ার আনন্দ।
চড়ুইভাতি ও বনভোজনের মধ্যে কিছু পার্থক্যও আছে। সাধারণত চড়ুইভাতি আয়োজন করা হয় পাড়া-মহল্লার ছেলেপুলেদের দ্বারা, যারা নিজেদের ঘর থেকে চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ইত্যাদি উপকরণ নিয়ে আসে এবং বাড়ির আশেপাশেই উৎসবের আয়োজন করে। অন্যদিকে, বনভোজন সাধারণত দূরে কোথাও, পূর্বনির্ধারিত পিকনিক স্পটে আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা চাঁদা দিয়ে খরচ মেটায়।
বাইরে খাওয়ার এই আনন্দপূর্ণ ঐতিহ্যটির সূচনা কোথা থেকে তা স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও, ধারণা করা হয় অন্তত ২০০৬ সাল থেকে এটি পালিত হয়ে আসছে। আজকের দিনে পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আয়োজিত হতে পারে একটি দুর্দান্ত চড়ুইভাতি উৎসব, যা আপনার দিনটিকে করে তুলবে আনন্দমুখর ও স্মৃতিময়।
(উৎস: ডেজ অব দ্য ইয়ার ও ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার)