চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের বাজারে চাঁদাবাজির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে, যা কখনও কখনও আরও বেশি পরিমাণে আদায় করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ট্রাক চালক ও হেলপারদের মারধর করা হচ্ছে এবং এমনকি হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, ট্রাক শ্রমিক নামধারী একশ্রেণির চাঁদাবাজ এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় করছে, যা পূর্বে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে করা হতো। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই চাঁদাবাজি দিন দিন বেড়ে চলেছে, যার ফলে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এবং তারা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন বাজারে ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক প্রবেশ করে, যার প্রতিটি ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করা হয়। চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দামও বাড়ছে, যা ভোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা বুধবার চাক্তাইয়ে দোকানপাট বন্ধ রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এবং বৃহস্পতিবারও একই ধরনের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম জানান, চাঁদাবাজি এখন ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতা এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি এই চাঁদাবাজি পণ্যের দামের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।