মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকার বিভিন্ন মানি চেঞ্জার হাউজ থেকে জানা গেছে, খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৪ টাকা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে এই দাম বেড়েছে।
তারা আরও বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে দেশজুড়ে সংঘাত, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের কারণে চলতি মাসে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক প্রবাসী বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ক্যাম্পেইন করছেন, যার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। এর ফলে খোলাবাজারে ডলারের দাম একদিনের ব্যবধানে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে গেছে। এখন এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের ১২৪ থেকে ১২৪.২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।
রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে ডলার কিনতে আসা হারুন জানান, তিনি থাইল্যান্ড যাবেন এবং খরচের জন্য নগদ ডলার কিনতে এসেছেন। ডলারের দাম ১২৪ টাকা চাওয়া হয়েছে, তাই তিনি এই রেটে ডলার কিনেছেন কারণ আরও দাম বাড়তে পারে।
৮ মে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করার পর ডলারের দর এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে ১১৭ টাকা হয়। এরপর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ডলারের দর ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় স্থিতিশীল ছিল। এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্স বাড়াতে মৌখিকভাবে বেশি দামে রেমিট্যান্স আনার নির্দেশ দিয়েছে। কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮.৫০ থেকে ১১৮.৭০ টাকা অফার করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশে ৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগে ১ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর ফলে ১৯ থেকে ২৪ জুলাই রেমিট্যান্স উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। জুন মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৫৪ কোটি ডলার, যা ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের পর সংঘাত এবং কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১৫০ জন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের হিসাবে দুই শতাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে।