বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট নর্থ সি ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪ শতাংশ বেড়ে ৮০ দশমিক ৩৮ ডলারে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (WTI) দাম ব্যারেলপ্রতি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭ দশমিক ৪৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ক্রুড তেলের সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এই আশঙ্কার প্রভাবেই জ্বালানি তেলের দাম এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে।
রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে নেমেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বাইডেন। এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতি এবং জ্বালানি রপ্তানি খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
অন্যদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তিনি জোর দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ইউক্রেন সংকট নিয়ে শিগগিরই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে বৈঠকের সুনির্দিষ্ট সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি।
বিশ্ববাজারে তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি শুধু আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রভাব নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে পরিবহন, শিল্প এবং কৃষি খাতের উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।