ঢাকা, ৯ জানুয়ারি: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, এতিমখানা স্থাপনে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ হয়নি, বরং সেই অর্থ এখনো অ্যাকাউন্টে সুরক্ষিত রয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার পক্ষের শুনানি শেষ হয়। এদিন খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী জয়নুল আবেদীনসহ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং আরও অনেক আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, এতিমদের জন্য বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে কুয়েতের আমিরের দেওয়া অর্থ সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুদক এই মামলা দায়ের করে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় আসামিকে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে, ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।
দুদকের আইনজীবী আসিফ হোসাইন শুনানিতে বলেন, মামলার প্রমাণাদির ভিত্তিতে সাজা প্রদান যথার্থ হয়েছে। অপরদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দাবি করেন, মামলার কোনো অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি। এ মামলায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে এবং রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজার স্থগিতাদেশ দেন এবং আপিল শুনানির অনুমতি মঞ্জুর করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এই শুনানি দেশের রাজনীতি ও আইনের ন্যায্যতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মামলাটির চূড়ান্ত রায় কি হবে, তা নিয়ে উভয় পক্ষই অপেক্ষারত।