ভারতের শেয়ারবাজারের প্রভাবশালী ব্যক্তি কেতন পারেখের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)। গত ৩০ ডিসেম্বর কেতনসহ আরও দু’জনকে শেয়ারবাজার থেকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেছে সেবি। পাশাপাশি, তাঁদের বেআইনিভাবে অর্জিত ৬৫.৭৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেবির অভিযোগ, কেতন পারেখ এবং তাঁর সহযোগীরা আগাম তথ্য পেয়ে বেআইনি শেয়ার লেনদেন করেছেন। এই বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সিঙ্গাপুরের এক বিনিয়োগকারী রোহিত সালগাওকার। জানা গেছে, তাঁরা একটি আমেরিকাভিত্তিক কোম্পানি ব্যবহার করে শেয়ার বাজারে অবৈধভাবে বিশাল মুনাফা অর্জন করেছেন।
সেবির তদন্তে উঠে এসেছে, এই কোম্পানিটি সারা বিশ্বে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি ডলারের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। এই কোম্পানির মাধ্যমেই কেতন এবং সালগাওকার শেয়ার বাজারের আগাম তথ্য নিয়ে মুনাফা অর্জন করতেন।
সেবি তাদের ১৮৮ পাতার রিপোর্টে কেতন পারেখ, রোহিত সালগাওকার এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। একইসঙ্গে রিপোর্টে মোট ২২টি কোম্পানির নামও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা এই জালিয়াতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
সেবির নির্দেশ অনুযায়ী, কেতন পারেখ এবং অন্য অভিযুক্তরা আর কোনও সেবি-নথিভুক্ত মধ্যস্থতাকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। শেয়ার বাজারে তাঁদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেতন পারেখের নাম আগেও শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল। ২০০০ সালে শেয়ারে জালিয়াতির অভিযোগে তাঁকে ১৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল সেবি। সেই সময়ে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এই ঘটনা কেতন পারেখের গ্রেফতারির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে। সেবি কঠোর অবস্থান নেওয়ায় শেয়ারবাজারে এই ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে একটি কড়া বার্তা প্রেরিত হয়েছে