ঢাকা: ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য সরকার ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিশনের নেতৃত্বে ফজলুর রহমান
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, তদন্ত কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক এ এল এম ফজলুর রহমান। এছাড়া কমিশনের সদস্য হিসেবে থাকবেন মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, সাবেক উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দন।
তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে
কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা কমিশন গঠনের প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ভয়াবহ ঘটনা দেশের ইতিহাসে এক গভীর ক্ষত হিসেবে চিহ্নিত। তদন্ত কমিশনের কাজ হবে এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ এবং দায়ীদের চিহ্নিত করা।
