টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপে ফেলার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তারা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট সাদপন্থীরা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের জাহিদুল ইসলাম রাকিব, ইংরেজি বিভাগের আসাদুজ্জামানসহ তাবলীগ জামাতের জুবায়েরপন্থী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৮ সালেও একইভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছিল সাদপন্থীরা। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাথে সাদপন্থীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে সেই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারসহ চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:
1. ইজতেমা ময়দানে শান্তি নিশ্চিত করতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
2. সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ।
3. জুবায়েরপন্থী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
4. পূর্ববর্তী হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার।
এছাড়া তারা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’ নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠী এই ষড়যন্ত্রে জড়িত।
শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “আমরা চাই তাবলীগের ইজতেমা মাঠে আর কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। এটি আমাদের ঈমানি জায়গা। এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, যা সরকারের সম্মান ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনের শেষে শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।