রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি, অস্ত্রোপচারের সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না, তার সহকারীরাই পুরো কাজটি পরিচালনা করেছেন। এই অবহেলার কারণেই ৫৫ বছর বয়সী মোশাররফ হোসেনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাটকীয় কৌশল নিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
বুকের ব্যথা নিয়ে মোশাররফ হোসেন রাজধানীর পান্থপথের গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিবারের ভাষ্যমতে, ওপেন হার্ট সার্জারির পর চিকিৎসক ডা. এ কে এম মনজুরুল আলম সফল অপারেশনের কথা জানালেও কিছুক্ষণ পর স্বজনদের বলা হয়, রোগী মারা গেছেন।
মোশাররফ হোসেনের ছেলে মো. লিটু হোসেন বলেন,
> “অপারেশন থিয়েটারে বাবাকে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার অনুপস্থিত ছিলেন। তার সহকারীরা পুরো অপারেশনের কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে দেড় ঘণ্টা পর ডাক্তার আসেন। তখন বাবার হৃদপিণ্ড অপসারণ করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে নানা অজুহাত দেখানো হয়।”
মোশাররফের মেয়ে ফারজানা হোসেন জানান,
> “ডা. মনজুরুল আলম আমাকে পড়াশোনার খরচ এবং ভবিষ্যতে গ্রিন লাইফে চাকরির প্রস্তাব দেন। অথচ বাবার মৃত্যুর পর তার সহকারী জুয়েল অ্যাম্বুলেন্স খরচের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। বাবার মৃত্যু হলে আমি এই টাকা দিয়ে কী করব?”
ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অস্পষ্ট। অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মনজুরুল আলম ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। হাসপাতালের জেনারেল বিভাগের পরিচালক হাসান খালিদ বলেন,
> “অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে কী ঘটেছে তা আমার জানা নেই। বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করা হচ্ছে।”
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন,
> “মৃতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত শুরু করব।”