ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার এবং কমান্ড নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টকম (যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড) জানিয়েছে, ইরানের সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের কার্যক্রমে বাধা দিতে এবং লোহিত সাগরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
সেন্টকম তাদের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ এবং বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এই অভিযানকে “প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হুতিদের সাথে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক উত্তেজনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সানার নিকটবর্তী একটি পাওয়ার স্টেশন লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে হুতি বিদ্রোহীরা তেল আবিবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যাতে ৯ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবশ্য দাবি করেছে যে, তারা হুতিদের বেশিরভাগ হামলা প্রতিহত করেছে।
গাজায় চলমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এই হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল হুতি বিদ্রোহীদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যা অঞ্চলটির রাজনৈতিক এবং সামরিক স্থিতিশীলতায় আরও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।