চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে। সাধারণ মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করছেন চট্টগ্রামের হালিশহরের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ শাহেদ। সীমিত আয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে মাত্র ৯৯ টাকায় ২৫০ গ্রাম গরুর মাংস এবং ৬৪০ টাকায় এক কেজি মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। শাহেদের এই উদ্যোগ ইতোমধ্যেই ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বর্তমানে চট্টগ্রামের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকার মধ্যে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য মাংস কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, মাংসের এত বেশি দাম তাদের নাগালের বাইরে।
একজন ক্রেতা বলেন,
> “বাজারে গরুর মাংসের দাম যদি ৫০০-৬০০ টাকার মধ্যে থাকত, তাহলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য সুবিধা হতো।”
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা দাবি করেন, গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য খরচের কারণে মাংসের দাম কমানো সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ শাহেদ ভর্তুকি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। শাহেদের দোকানে গরুর মাংস কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন,
> “মাত্র ৯৯ টাকায় মাংস কিনতে পেরে খুবই খুশি। এত স্বল্প দামে মাংস পাওয়া যাবে, তা কখনো ভাবিনি।”
আরেকজন ক্রেতা বলেন,
> “১ কেজি মাংস কেনার সামর্থ্য অনেকের নেই। কিন্তু এখানে ৯৯ টাকার প্যাকেজ দারুণ উদ্যোগ। এটি অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।”
উদ্যোক্তা মোহাম্মদ শাহেদ জানিয়েছেন,
> “বাজারে মাংসের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে মাংস সরবরাহ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। ব্যবসায়ীদের উচিত সিন্ডিকেট ভেঙে সাধারণ মানুষের কথা ভাবা।”
শাহেদের এই উদ্যোগ শুধু নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনেনি, বরং অনেকে মনে করছেন এটি বাজারের মাংসের সিন্ডিকেট ভাঙার পথও দেখাবে। অন্যান্য উদ্যোক্তারাও এমন উদ্যোগ নিলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।