ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর:
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “বাংলাদেশি জনগণকে তাদের পছন্দের সরকার বেছে নিতে সহায়তা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই। আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানানো এই প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
শেখ হাসিনার সময়ে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন, একতরফা নির্বাচন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। গত আগস্টে তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
বেদান্ত প্যাটেল আরও জানান, হাসিনা সরকারের সময় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে গুমের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। “শেখ হাসিনা ও তার শাসনামলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার অপরাধ তদন্ত ও সুবিচার প্রক্রিয়ায় যে স্বচ্ছতা আনতে চাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়,” বলেন তিনি।
হাসিনা সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রসঙ্গে প্যাটেল বলেন, “বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।”
বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের ওপর, যেখানে নতুন গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে হাঁটছে দেশটি। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কতটা সফল হয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে জাতি।