ডেস্ক রিপোর্ট:
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসন এবং গোলান মালভূমির কাছাকাছি সিরিয়ার ভূখণ্ডে ক্রমাগত বিমান হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব এবং ইরাক। এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হিসেবে অভিহিত করেছে দেশগুলো।
গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইসরায়েলের এই হামলা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমন কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
সৌদি আরবও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েল ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এর ফলে সিরিয়ার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধারের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে।” সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “গোলান মালভূমি আরব ভূমি, যা ইসরায়েলের দখলে রয়েছে।”
ইরাকও এই ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বাগদাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “ইসরায়েলের এই আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত।” জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেছে, “ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
রোববার ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার দখলে থাকা গোলান মালভূমিতে প্রবেশ করে বাফার জোন দখল করে নেয়। এছাড়া ওই এলাকার পাঁচটি গ্রামে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়। এই আগ্রাসনের পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।