কক্সবাজারের টেকনাফে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাউসিফুল করিম রাফিকে (১৩) অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, রাফির বাবা যুবলীগ নেতা রেজাউল করিমকে না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, অভিযানের সময় রাফির কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২৬ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে দরগাহ পাড়ার নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুইজন পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের উপস্থিতিতে তাউসিফুল করিম রাফিকে আটক করা হয়। তার হাতে থাকা নীল রঙের ব্যাগ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ৪০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাফি জানায়, অস্ত্রটি তার বাবার। বাবা রেজাউল করিম তাকে পাশের বাড়ির পেছনে অস্ত্রটি লুকিয়ে রাখতে বলেছিলেন। পুলিশের দায়ের করা মামলায় রেজাউল করিমকে পলাতক আসামি করা হয়েছে। আদালতে হাজির করা হলে রাফিকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাফির বাবা রেজাউল করিম দাবি করেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তার সন্তানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমাকে টার্গেট করে আমার শিশুপুত্রকে গ্রেফতার করেছে। এটি পুরোপুরি নির্বাচনকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্র।”
তাউসিফুল করিম রাফির গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেজাউল করিম একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং ইয়াবা কারবারে সম্পৃক্ত। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্যই লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র মজুদ করেছিলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।