ঢাকা, ২৮ নভেম্বর:
বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা কঠোর করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ না হলে পরদিন থেকেই তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হবে। যদি ৩ মাসের মধ্যে ঋণটি পরিশোধ বা নবায়ন না করা হয়, তবে সেটি খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার (২৭ নভেম্বর) একটি সার্কুলারের মাধ্যমে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের এই নীতিমালার বিষয়ে জানিয়েছে। নতুন এই বিধান ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
পূর্বে ঋণের ধরন অনুযায়ী খেলাপি ঋণ চিহ্নিত করার সময়সীমা ছিল ৬ মাস থেকে ৯ মাস পর্যন্ত। নতুন নীতিমালায় সব ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ৩ মাসে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে, ৩ মাস পরই মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে।
এই পরিবর্তনের ফলে, দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সংজ্ঞা প্রণয়ন করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের মতো সংস্থাগুলো।
খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা নিয়ে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। তাদের মতে, কোনো ঋণ যদি নির্ধারিত সময়ে পরিশোধিত না হয়, তবে সেটি ৩ মাসের মধ্যে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।
কিন্তু রাজনৈতিক চাপের কারণে আগে বাংলাদেশে এই সময়সীমা ৬ মাস থেকে ৯ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বিশেষত, বড় ঋণখেলাপি এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল আসার কথা রয়েছে। তাদের সফরের মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণ অন্যতম। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কমানোর লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বর্তমানে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। সরকার পরিবর্তনের পর এই ঋণের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। আইএমএফের শর্ত পূরণ করতেই বাংলাদেশ ব্যাংক এবার খেলাপি ঋণের