ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই অভিবাসন নীতিতে কড়া পরিবর্তন আনতে পারেন। শপথের দিনই তিনি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জো বাইডেনের অভিবাসন নীতির অনেক পদক্ষেপ বাতিল করতে পারেন বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও বিতাড়নে মার্কিন কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অপরাধে জড়িত না থাকলেও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা বাড়বে।
মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সেনা সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি দেয়াল নির্মাণ পুনরায় শুরু করতে পারেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে সীমান্তে এই দেয়াল নির্মাণ বন্ধ ছিল। এছাড়া, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সীমান্ত নিরাপত্তা আরো শক্তিশালী করতে নানা উদ্যোগ নেবেন ট্রাম্প।
সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন মানবিক প্রকল্পের মাধ্যমে লাখ লাখ অভিবাসীকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ট্রাম্প সেই প্রকল্পগুলোকেও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাতিল করতে পারেন।
গাজা সংকটে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভে অংশ নেয়া কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরানোর বিষয়টিও ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকতে পারে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছিল। নিউইয়র্ক, শিকাগো ও ডেনভারের মতো অনেক শহরে এই অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এসব শহর অভিবাসীদের আবাসন ও অর্থ সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্পের অন্যতম বড় প্রতিশ্রুতি ছিল অবৈধ অভিবাসী তাড়ানো। বাইডেন প্রশাসন আমলে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ কমলেও ট্রাম্প আরও কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করতে চান। এজন্য অভিবাসন বিভাগের সাবেক পরিচালক টম হোম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প।
এভাবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পরই কড়া অভিবাসন নীতির মাধ্যমে ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।