শেরপুরের সজবরখিলা এলাকায় কলেজছাত্র সুমনকে অপহরণের পর হত্যা করে মাটির নিচে পুঁতে রাখার ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। সোমবার (গত রাত) গভীর রাত ১টার দিকে শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফুরকান মিয়ার বাড়ির উঠান থেকে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সুমন শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার বাসিন্দা কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রেমঘটিত কারণেই হত্যা
সুমনের পরিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার ঝগড়ার চর এলাকার বাসিন্দা আন্নি নামে এক তরুণীর সঙ্গে সুমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বেশ কিছুদিন আগেই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায় এবং আন্নি অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু সম্প্রতি আন্নি সুমনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সুমন তাতে রাজি হননি। এরপর সাত দিন আগে আন্নি সুমনকে ফোন করে ময়মনসিংহে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই সুমনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
মাটির নিচে লাশ উদ্ধার, অভিযুক্ত আটক
পুলিশ জানায়, সুমনের নিখোঁজের বিষয়ে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত আন্নি এবং তার আরেক প্রেমিক রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুমনের লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। স্বজনরা আন্নি ও রবিনসহ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “সুমনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছি। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আমরা সুমনের লাশ উদ্ধারে সক্ষম হই।” হত্যাকাণ্ডের পেছনে আর কারা জড়িত আছে, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
পুলিশ আরও জানায়, মুঠোফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুমনের শেষ অবস্থান ময়মনসিংহে পাওয়া যায়, যদিও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।