মানবজীবন মানেই বিরামহীন জটিলতার এক বিশাল অধ্যায়। ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চায় সবাই, কিন্তু বাস্তবতা হলো—ঝামেলা ও জটিলতা ছাড়া জীবন সম্ভব নয়। যাপিত জীবনের এই গূঢ় সত্য অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। যতই মানুষ নির্ঝঞ্ঝাট থাকার চেষ্টা করুক না কেন, জটিলতা আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে থাকে। মানসিক দ্বন্দ্ব, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা, অপ্রত্যাশিত উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে জীবনের প্রতিটি অধ্যায় এগিয়ে চলে।
আজ, ৯ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হচ্ছে ‘ঝামেলার শেষ নেই’ (ক্যাওস নেভার ডাইস) দিবস। দিনটির উৎপত্তি কবে এবং কীভাবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে জীবন নিয়ে ইতিবাচক চিন্তার অনুশীলন শুরু করা যেতে পারে। কেননা জীবনের সব জটিলতা, বিশৃঙ্খলা ও ঝামেলাকে সহজভাবে গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “মনেরে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে।”
জটিলতাকে প্রশ্রয় দিলে জীবন স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে চলমান পরিস্থিতিকে সহজভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতেই তাৎক্ষণিক মুহূর্তের গুরুত্ব বুঝে তাকে উপভোগ করা সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। সাময়িক সময়েই জীবনের প্রকৃত বাস্তবতা নিহিত, আর তাই বর্তমানকে গুরুত্ব দিয়ে, জটিলতা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে চলতে পারলে কোনো ঝামেলাই জীবনকে স্থবির করতে পারবে না।
জীবনের এই জটিলতাকে সামলাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে। ইতিবাচক থাকা, নিয়মিত যোগব্যায়াম ও ধ্যানচর্চা করা, শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করা—এই সবই জীবনের জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। ব্যস্ততা থেকে মাঝেমধ্যে নিজেকে ছুটি দিয়ে সম্পূর্ণ নিজের মতো সময় কাটানোর অভ্যাস তৈরি করলে মানসিক স্বস্তি আসতে পারে। এমনকি ব্যস্ততার মাঝেও কিছু সময় নিজের জন্য রাখার অভ্যাস করলে জটিলতাহীন জীবনের স্বাদ অনুভব করা সম্ভব।
তাই আজকের দিনে, ‘ঝামেলার শেষ নেই’ দিবসে, চলমান জটিলতার সঙ্গে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে জীবনকে গ্রহণ করুন।