লাহোর, ৯ নভেম্বর: দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাব এবার পড়েছে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে। আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের আপত্তির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনাকে খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি শুক্রবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ পরিদর্শনের সময় বলেন, “পাকিস্তানে খেলা আয়োজন করতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে ভারত যদি না খেলতে চায়, তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে হবে। এ নিয়ে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিরাপত্তা ইস্যুতে ২০১১ বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগও হারায় দেশটি। তবে পরবর্তীতে পিএসএল ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের মাধ্যমে আবারো ক্রিকেট ফেরে পাকিস্তানে।
নাকভি আরও বলেন, “অতীতে পাকিস্তান ভারতের প্রতি উদারতা দেখিয়েছে। ভারত এশিয়া কাপে না এলে পাকিস্তান ঠিকই বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে গিয়েছে। খেলাধুলায় রাজনীতি মেশানো উচিত নয়। যদি ভারত লিখিত আকারে জানায় যে তারা আসবে না, তাহলে আমরা সরকারের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করবো এবং তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেব।”
ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ২০১৩ সালের পর থেকে স্থগিত রয়েছে। শুধুমাত্র আইসিসি ও এশিয়া কাপের ম্যাচগুলোতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দেখা হয়। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানই শিরোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আটটি দল। তবে ভারত অংশগ্রহণ না করলে পিসিবি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান।