ঢাকা: প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাস করেছে ভারতীয় কোম্পানি আদানি পাওয়ার। ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিডের তথ্য ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। পূর্বে দুটি প্ল্যান্ট থেকেই বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। তবে চলতি মাসের শুরুতে তা কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে ৭০০-৭৫০ মেগাওয়াটে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার, আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও হ্রাস করে ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছে।
এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, “আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করছি। তবে কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করব। আমরা কোনো পাওয়ার কোম্পানিকে আমাদেরকে জিম্মি করতে দেব না।”
বিপিডিবির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো হলেও এবং ৭ নভেম্বরের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করতে বাংলাদেশ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে, চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ আদানির বকেয়া পরিশোধের লক্ষ্যে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলেছে বলে রয়টার্স জানায়। তবে এ বিষয়ে আদানির কাছে জানতে চাইলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ভারতীয় কোম্পানি আদানি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়ে থাকে। তবে বকেয়া বিল পরিশোধে দেরি হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সরবরাহের হ্রাসে দেশটির বিদ্যুৎ গ্রিডে সংকট দেখা দিয়েছে।