ওয়াশিংটন, ৫ নভেম্বর: অবশেষে এসে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতীক্ষিত দিন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির জনগণ তাদের পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের জন্য ভোট দেবে। এই নির্বাচনের ওপর বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এইবার যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মূল লড়াইটা হচ্ছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। যদিও আরও চারজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, বিশ্লেষকদের মতে তারা তেমন কোনো বড় প্রভাব ফেলতে পারবেন না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য নির্ধারক ভূমিকা পালন করবে। কারণ এই রাজ্যগুলোতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান প্রার্থীর সমর্থন প্রায় সমান, যা নির্বাচনের ফলাফলকে অপ্রত্যাশিত করে তুলেছে। দোদুল্যমান এই রাজ্যগুলোতে ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে দুই প্রার্থীই সেখানে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
রোববার (৩ নভেম্বর) মিশিগানে এক প্রচারণায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আরব-আমেরিকান ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এই প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন তিনি। অন্যদিকে, একই দিনে পেনসিলভানিয়া এবং নর্থ ক্যারোলিনায় প্রচারণায় অংশ নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জো বাইডেনের প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটিক শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, এবং রিপাবলিকান পার্টি জয়ী হলে আগামী চার বছর দেশকে স্বর্ণযুগে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মার্কিন এই নির্বাচন ঘিরে দেশটির জনগণসহ পুরো বিশ্ববাসী অপেক্ষায় রয়েছেন।