২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। সেই ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ জানতে আদালত পুনঃতদন্ত চেয়েছেন।
গত রোববার (৩ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে কোনো পুনঃতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে কিনা। আদালত জানান, ৫৭ সেনা কর্মকর্তার নির্মম হত্যার কারণ জানতে সমগ্র জাতি আগ্রহী। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘটনাটির পুনঃতদন্তের ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখনও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পিলখানা বিদ্রোহের পর একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। তবে এর অন্যতম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির অভিযোগ করেন যে, সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে তদন্তটি কেবল কাগজপত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল। তদন্তে প্রতিবাদ জানানোয় তাকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তার অভিযোগ, তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
রিটকারী আইনজীবী জানান, আদালত এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদেশ দেবেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে হাইকোর্টের এই পদক্ষেপ জাতীয় পর্যায়ে নতুন করে আলোচিত হচ্ছে।
দেশবাসী আশা করছে, এই পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হবে এবং অপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হবে।