রানা প্লাজা ধসের মামলার বিচার কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ
সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেল রানার জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন দেশের আপিল বিভাগ। সোমবার (২৮ অক্টোবর), আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে, উচ্চ আদালতকে সোহেল রানার জামিন প্রশ্নে রুল নিষ্পত্তি করতে দুই মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোহেল রানাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন প্রদান করেন। পাশাপাশি তার নিয়মিত জামিনের প্রশ্নে রুল জারি করেন। তবে, পরদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক সোহেল রানার জামিন স্থগিত করেন। সোমবারের শুনানিতে সোহেল রানার পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির জামিনের জন্য আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এর আগে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগ নির্দেশ দিয়েছিল, মামলাটির বিচার কার্যক্রম ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে ৯ মাস অতিক্রান্ত হলেও বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি। এ আদেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে বিচারকাজ শেষ না হলে সংশ্লিষ্ট আদালতকে সোহেল রানার জামিন আবেদন বিবেচনা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বিচার কার্যক্রমে বিলম্বের কারণে, সোহেল রানার মামলার ভবিষ্যৎ বিচারিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
রানা প্লাজা ধস: বিশ্বে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল, সাভারের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত আটতলা রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এ ঘটনায় এক হাজার ১৩৫ জন নিহত হন এবং অসংখ্য শ্রমিক আহত হন। এই দুর্ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পক্ষেত্রে অন্যতম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিতি পায়।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ শতাধিক সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। ফলে, বিচারকাজ কবে শেষ হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিয়ে আবারও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।