নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নে এক নারী ও তার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে, ভুক্তভোগী নারীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন হাসান ও হারুন, যারা ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী চট্টগ্রামে গাড়ি চালানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি তার ডিভোর্সি মেয়েকে নিয়ে দুর্গম চরে বাস করছিলেন। সেখানে তার দূর সম্পর্কের দেবরের যাতায়াত ছিল নিয়মিত। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় ছয় যুবক—রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম—তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন।
গত রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ওই ছয় যুবক ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ঘরের দরজা খুলে তারা ভেতরে প্রবেশ করে এবং নারীর দেবরকে বেঁধে রেখে তাকে ও তার মেয়েকে বাহিরে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন তাকে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়, আর অন্যরা তার মেয়েকে রান্নাঘরের পাশে নিয়ে যায়। রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে তারা মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে। এছাড়া, অভিযুক্তরা তাদের বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ অর্থও লুট করে। এ ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে হাসান ও হারুনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত মা-মেয়েকে থানায় নিয়ে এসে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। মামলার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন।
এই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।