ঢাকা, ২৩ অক্টোবর: হজযাত্রীদের জন্য সমুদ্রপথে যাত্রার ব্যবস্থা করলে বিমান ভাড়ার তুলনায় ৪০ শতাংশ খরচ কম পড়বে বলে জানিয়েছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। এবার, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, যদি হাজিদের আগ্রহ থাকে তবে এ বছর থেকেই নৌপথে হজযাত্রা শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, “সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং তারা কোনো আপত্তি করেনি। ফলে হাজিদের আগ্রহের ওপর নির্ভর করে নৌপথে হজযাত্রা শুরু করা যাবে।”
বিশ্বের অন্যান্য দেশেও নৌপথে হজযাত্রা চালু রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত ২০১৮ সাল থেকে এবং পাকিস্তান ২০২০ সাল থেকে সমুদ্রপথে হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবের জেদ্দায় পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া, সুদানসহ আরও কয়েকটি দেশও সমুদ্রপথে হজযাত্রার সুবিধা দিচ্ছে।
ষাটের দশকে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) হজযাত্রীরা সমুদ্রপথে হজ পালন করতেন। তবে স্বাধীনতার পর, পঁচাত্তর-পরবর্তী কোনো সরকার নৌপথে হজযাত্রার উদ্যোগ নেয়নি। ২০১৮ সালে একটি উদ্যোগ নেওয়া হলেও সৌদি সরকারের সম্মতি না পাওয়ায় সেটি কার্যকর হয়নি।
নৌপথে হজযাত্রা চালু হলে যাত্রীদের জন্য খরচ কমানোর পাশাপাশি যাত্রাপথে একটি নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত হবে। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য হজযাত্রীদের আগ্রহ এবং সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের হজযাত্রায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, যা হজযাত্রীদের আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
হজযাত্রীদের নৌপথে হজ পালনের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি এবং তথ্য জানতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।