ঢাকা, ১৭ অক্টোবর: হাইকোর্টের নির্দেশে দেশের আটটি স্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।
ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম কর্তৃক দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়, যেখানে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা প্রস্তুত, তাদের চিকিৎসা এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য আদালতের আদেশ চাওয়া হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করে এবং শহীদদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন। আহতদের দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে প্রতি চার মাস অন্তর হাইকোর্টকে অবহিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানগুলো হলো ঢাকার যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, উত্তরা, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, ইসিবি চত্বর, বাড্ডা-রামপুরা, চানখারপুল, মোহাম্মদপুর এবং রংপুরে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার স্থান। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও লাইব্রেরি নির্মাণের মাধ্যমে আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম জানান, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্মৃতিস্তম্ভ এবং লাইব্রেরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে উদ্বুদ্ধ হবে।
এ রুল জারির মধ্য দিয়ে আদালত মানবাধিকার রক্ষায় আরও একটি মাইলফলক স্থাপন করলো।