ঢাকা, ১৬ অক্টোবর: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ১২ জন বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা দেশের বিচারাঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, এই বিচারপতিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে তাদের বিচারিক ক্ষমতা স্থগিত করা হবে নাকি আপাতত ছুটিতে পাঠানো হবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৈষম্য বিরোধী আইনজীবী সমাজ এই বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আন্দোলনকারীরা আওয়ামীপন্থী বিচারকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সংগঠনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম বুধবার সকাল ১১টা থেকে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে হাইকোর্ট ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হাইকোর্ট মাজার গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।
দেশের বিচারাঙ্গনের ওপর ওঠা এই সংকটময় পরিস্থিতি নিরসনে প্রধান বিচারপতির পদক্ষেপ নজরকাড়া। দেখা যাক, সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের ভাগ্য কীভাবে নির্ধারণ হয়।