ঢাকা, ১৫ অক্টোবর: সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু এবং নেত্রকোণার মদন পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল হান্নান তালুকদারের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি নিজের এবং সন্তানদের নামে দেশে ও বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তিনি নিম্ন আদালতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। এছাড়া, ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয় করে সরকারি অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কামরুল ইসলামের নামে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং জমি রয়েছে।
অন্যদিকে, আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নির্বাচনি এলাকা ঝালকাঠীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ঝালকাঠি জেলার এলজিইডি এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদারি কাজে আমু অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করতেন। তার নামে ঢাকার ধানমন্ডি, সাভার এবং মিরপুর এলাকায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া, দেশে-বিদেশে তার বিপুল অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের মালিকানা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়া, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নির্বাচনের পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম করে অবৈধ উপার্জন করেছেন। আর নেত্রকোণার মদন পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল হান্নান তালুকদার সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদক জানিয়েছে, এ সব অভিযোগের বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।