মহারাষ্ট্রের সাবেক বিধায়ক এবং তিনবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বাবা সিদ্দিকীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। এর পাশাপাশি, এই গ্যাং বলিউড অভিনেতা সালমান খান এবং যারা তাকে সমর্থন করবে তাদেরও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনার পরপরই সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে।
এনডিটিভিসহ ভারতীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় বাবা সিদ্দিকীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন তিনি তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকীর বান্দ্রাস্থ কার্যালয়ের কাছেই ছিলেন। এই ঘটনার পরপরই বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয় যে, কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এই সন্দেহ আরও জোরালো হয় গ্যাংয়ের সদস্য শুভম রামেশ্বরাম লোনকারের একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে, যেখানে বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় সরাসরি স্বীকার করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারের পাশাপাশি, বিষ্ণোই গ্যাং সালমান খানকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে। গ্যাংয়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, সালমান খানকে যারা সাহায্য করবে তাদেরও টার্গেট করা হবে। সম্প্রতি সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনার পর এই হুমকির বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রুতা এবং সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কিত পূর্বের বিতর্ক উঠে এসেছে।
লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার গ্যাং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য কুখ্যাত। সালমান খানকে হত্যার হুমকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথে জড়িত নানা অপরাধের ধারাবাহিকতা বলে মনে করা হচ্ছে। সালমান খানের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরোধের সূত্রপাত হয় ১৯৯৮ সালে, যখন সালমান খান কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলায় অভিযুক্ত হন। বিষ্ণোই সম্প্রদায় এই হরিণকে পবিত্র মানে এবং তাই সালমান খানের বিরুদ্ধে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় স্বীকারের পোস্টটি আসে একটি ফেসবুক আইডি থেকে, যা ধারণা করা হচ্ছে শুভম লোনকারের। যদিও শুভম লোনকার বর্তমানে কারাগারে রয়েছে, পুলিশ ধারণা করছে এই পোস্টটি তার ভাই প্রবীণ লোনকার দিয়েছে। প্রবীণ লোনকারকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ আরও জানায়, শুভম লোনকার গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যদিও তিনি জেলে আছেন, তবুও গ্যাংয়ের বাকি সদস্যরা তার নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের এই তথ্য এবং শুভম লোনকারের ফেসবুক পোস্ট বাবাকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সরাসরি জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের পর মুম্বাই পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি এবং সালমান খানের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার নিরাপত্তাও আরও বাড়ানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে, সালমান খানের আইনজীবীরা এবং পরিবারও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছে। তারা এই হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং একটি কুখ্যাত অপরাধী সংগঠন, যা বহু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাং ভারতজুড়ে বিভিন্ন বেআইনি কাজকর্ম চালায় এবং বিশেষ করে উত্তর ভারত অঞ্চলে তাদের প্রভাব বেশি। গ্যাংয়ের প্রধান লরেন্স বিষ্ণোই একজন কুখ্যাত অপরাধী, যিনি বর্তমানে বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
বিষ্ণোই গ্যাং মূলত চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ এবং অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত। গ্যাংয়ের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয় এবং বিভিন্ন সময় তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই স্বীকার করে থাকে। বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় স্বীকারের পোস্টও এর একটি উদাহরণ।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ড মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা এই ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনে। বাবা সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যরাও তাদের প্রিয়জনের হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সালমান খানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। তার বাড়ির আশপাশে পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হয়েছে এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতিও আরও বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, মুম্বাই পুলিশও সালমান খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আপডেট দিচ্ছে।
সালমান খান ইতোমধ্যে তার পরিবারের সঙ্গে এই হুমকির বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ড এবং লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দায় স্বীকার ভারতের রাজনৈতিক এবং সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি শুধু মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকদের জন্য নয়, বলিউডের সেলিব্রিটিদের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সালমান খানকে নিয়ে যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশাসন এখন সর্বোচ্চ সতর্ক।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি এবং এর আগ্রাসী কর্মকাণ্ড ভারতের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
মহারাষ্ট্রের সাবেক বিধায়ক বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ড এবং লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দায় স্বীকার
মহারাষ্ট্রের সাবেক বিধায়ক এবং তিনবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বাবা সিদ্দিকীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। এর পাশাপাশি, এই গ্যাং বলিউড অভিনেতা সালমান খান এবং যারা তাকে সমর্থন করবে তাদেরও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনার পরপরই সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে।
এনডিটিভিসহ ভারতীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় বাবা সিদ্দিকীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন তিনি তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকীর বান্দ্রাস্থ কার্যালয়ের কাছেই ছিলেন। এই ঘটনার পরপরই বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয় যে, কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এই সন্দেহ আরও জোরালো হয় গ্যাংয়ের সদস্য শুভম রামেশ্বরাম লোনকারের একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে, যেখানে বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় সরাসরি স্বীকার করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারের পাশাপাশি, বিষ্ণোই গ্যাং সালমান খানকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে। গ্যাংয়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, সালমান খানকে যারা সাহায্য করবে তাদেরও টার্গেট করা হবে। সম্প্রতি সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনার পর এই হুমকির বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে তাদের দীর্ঘদিনের শত্রুতা এবং সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কিত পূর্বের বিতর্ক উঠে এসেছে।
লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার গ্যাং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য কুখ্যাত। সালমান খানকে হত্যার হুমকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথে জড়িত নানা অপরাধের ধারাবাহিকতা বলে মনে করা হচ্ছে। সালমান খানের সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরোধের সূত্রপাত হয় ১৯৯৮ সালে, যখন সালমান খান কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলায় অভিযুক্ত হন। বিষ্ণোই সম্প্রদায় এই হরিণকে পবিত্র মানে এবং তাই সালমান খানের বিরুদ্ধে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় স্বীকারের পোস্টটি আসে একটি ফেসবুক আইডি থেকে, যা ধারণা করা হচ্ছে শুভম লোনকারের। যদিও শুভম লোনকার বর্তমানে কারাগারে রয়েছে, পুলিশ ধারণা করছে এই পোস্টটি তার ভাই প্রবীণ লোনকার দিয়েছে। প্রবীণ লোনকারকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ আরও জানায়, শুভম লোনকার গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যদিও তিনি জেলে আছেন, তবুও গ্যাংয়ের বাকি সদস্যরা তার নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের এই তথ্য এবং শুভম লোনকারের ফেসবুক পোস্ট বাবাকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সরাসরি জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের পর মুম্বাই পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি এবং সালমান খানের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার নিরাপত্তাও আরও বাড়ানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকার এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে, সালমান খানের আইনজীবীরা এবং পরিবারও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছে। তারা এই হুমকিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং একটি কুখ্যাত অপরাধী সংগঠন, যা বহু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাং ভারতজুড়ে বিভিন্ন বেআইনি কাজকর্ম চালায় এবং বিশেষ করে উত্তর ভারত অঞ্চলে তাদের প্রভাব বেশি। গ্যাংয়ের প্রধান লরেন্স বিষ্ণোই একজন কুখ্যাত অপরাধী, যিনি বর্তমানে বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
বিষ্ণোই গ্যাং মূলত চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ এবং অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত। গ্যাংয়ের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ সক্রিয় এবং বিভিন্ন সময় তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই স্বীকার করে থাকে। বাবা সিদ্দিকীর হত্যার দায় স্বীকারের পোস্টও এর একটি উদাহরণ।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ড মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা এই ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনে। বাবা সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যরাও তাদের প্রিয়জনের হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সালমান খানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। তার বাড়ির আশপাশে পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হয়েছে এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতিও আরও বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, মুম্বাই পুলিশও সালমান খান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আপডেট দিচ্ছে।
সালমান খান ইতোমধ্যে তার পরিবারের সঙ্গে এই হুমকির বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন।
বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ড এবং লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দায় স্বীকার ভারতের রাজনৈতিক এবং সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি শুধু মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকদের জন্য নয়, বলিউডের সেলিব্রিটিদের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সালমান খানকে নিয়ে যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশাসন এখন সর্বোচ্চ সতর্ক।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি এবং এর আগ্রাসী কর্মকাণ্ড ভারতের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।