কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার বাজারে খেজুর-আপেলসহ প্রায় সব ফলের দাম ঊর্ধ্বমুখী
ঢাকা, ৯ অক্টোবর: কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এবং রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন ফলের বাজারে আজও ফলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খেজুর, আপেল, আঙুরসহ প্রায় সব ফলের দাম আকাশচুম্বী।
বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকায়, আজওয়া খেজুর ১ হাজার ২০০ টাকা, বরই খেজুর ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় এবং মেডজুল খেজুরের দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
অন্যান্য ফলের দামে উল্লম্ফনও লক্ষ্য করা গেছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে, সবুজ আপেল ৩৪০ টাকা, রয়েল গালা আপেল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ফুজি আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, নাশপাতি ৪০০ টাকা এবং আনার ৭০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কমলা ৩৫০ টাকা, লাল আঙুর ৪৮০ টাকা, সবুজ আঙুর ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তাজা ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের দামেও চড়াও অবস্থা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, পেয়ারা ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ডাব প্রতি পিস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা এবং মানভেদে আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের কারসাজির অভিযোগ
বাজারে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, ফলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে, যা তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ক্রেতা আফজাল বলেন, “রোজার সময় ফলের দাম বাড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এখন কোনো উৎসব নেই, তবুও দাম কেন এত বাড়ছে? এটা স্পষ্ট যে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করে দাম বাড়াচ্ছেন।”
ব্যবসায়ীরা আমদানি সংকটের কথা বললেও ক্রেতারা একে কারসাজি হিসেবে দেখছেন। কারওয়ান বাজারের মদিনা ফ্রুটস গ্যালারির এক ফল বিক্রেতা বলেন, “ফলের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। এলসি সংকট নেই, তবে আমদানিকারকরা ইচ্ছে করে বাজারে কম ফল ছাড়ছেন, তাই দাম বাড়ছে।”
ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে এই বিষয়ে বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ কম থাকায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
—