সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে সাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ও অন্যান্য কর্মকর্তারা মিলে প্রায় ৩৫৩ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন, যার মধ্যে ৪৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এ ব্যাপারে একটি তদন্ত চালিয়ে জানিয়েছে যে সাবেক চেয়ারম্যান নুর-ই-হাফসা, তার ভাগিনা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, এবং তার জামাতা মীর রাশেদ বিন আমান এ লুটপাটে জড়িত। প্রতিষ্ঠানটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রাশেদ বিন আমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া কামরান তানিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্বের পর বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসে এবং একাধিক সংস্থা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে বেরিয়ে আসে যে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার মধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বিভিন্ন পন্থায়, যেমন গ্যালাক্সি হলিডেজের মাধ্যমে ভ্রমণ খরচের নামে এবং ক্রাউন মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে। এছাড়াও, সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ভবন বিক্রির নামে ১৩৯ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং অন্য খাতে ৪৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে যে রাশেদ বিন আমান তার বেতনের বাইরে বিলাসবহুল গাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্যও কোম্পানির তহবিল ব্যবহার করেছেন।