ঢাকা, ৩ অক্টোবর ২০২৪:
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের অবৈধভাবে দেশের সীমানা পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে এই উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা অবৈধভাবে দেশত্যাগ করলেন তা তদন্তের বিষয় এবং অর্থের বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে এই ধরনের কাজ সম্পন্ন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিজিবির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান আরও জানান, বিজিবি দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অবৈধভাবে বিদেশগামীদের আটকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিজিবি মহাপরিচালক মনে করেন, অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
অবৈধ দেশত্যাগে দালালের ভূমিকা
বিজিবি মহাপরিচালক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কিছু মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য অর্থের বিনিময়ে দালালের সহায়তায় দেশের সীমানা পাড়ি দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিজিবির ওপর দায়িত্ব রয়েছে সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ বা দেশত্যাগ প্রতিহত করার। তবে অর্থের বিনিময়ে কিছু ব্যক্তি এ ধরনের কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে এবং সন্দেহভাজনদের আটক করার প্রক্রিয়া চলছে।
দুর্গাপূজার সময় সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বিজিবি মহাপরিচালক দুর্গাপূজার সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও, বিজিবি সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। বিজিবি প্রতিটি পূজামণ্ডপে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “গতবারের তুলনায় এবছর কিছু পূজামণ্ডপ কম হলেও, আমরা পূজার সময় যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি।”
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি রক্ষায় বিজিবির কার্যক্রম
পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা নিয়েও মন্তব্য করেন বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিজিবি নিয়মিতভাবে কাজ করছে এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করে তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। বিজিবি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।