প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে এবং প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা আরও সহজ করতে নতুন ঋণ প্রকল্প চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে জারি করা একটি সার্কুলারে এই তথ্য জানানো হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন, যা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা যাবে। এর আগে, কেবলমাত্র উচ্চ আয়ের প্রবাসীদের গৃহনির্মাণের কাজে স্বল্প ঋণ সুবিধা দেওয়া হতো।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শুধুমাত্র বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা এই ঋণ সুবিধা পাবেন। রেমিট্যান্সের ভিত্তিতেই ঋণ গ্রহণের সব ধাপ নির্ধারণ করা হবে। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো অর্থ ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। এছাড়া ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর প্রচলিত নীতিমালা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
ঋণের সুদের হার নির্ধারণ হবে ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে।
অন্যদিকে, আমদানি খরচ মেটাতে ব্যাংকগুলোর উদাসীনতা দূর করতে এবং এডিগুলোর (অথরাইজড ডিলার ব্যাংক) ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যয় বকেয়া না রাখতে কঠোর পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার ও ক্লাউড সেবার জন্য বার্ষিক ফি সর্বোচ্চ সীমা ৩,০০০ ডলার থেকে কমিয়ে ১,৫০০ ডলার নির্ধারণ করেছে।
উল্লেখ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জনশক্তি পাঠানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর অধীনে ১১০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা এক কোটি ৫৫ লাখেরও বেশি।